সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে আরেকটি নতুন রাজনৈতিক দল নিয়ে এলেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সাবেক রাষ্ট্রদূত ও রাজনীতিবিদ আ ম স আ আমিন। মেধাবী ও দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে রাজনীতি ও সমাজ সংস্কৃতির অধপতন ঠেকাতে এবং সমাজের নানাবিধ সমস্যার সমাধান দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আত্মপ্রকাশ করল নতুন রাজনৈতিক দল ‘নৈতিক সমাজ।’ মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে নতুন রাজনৈতিক দলটির ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
এছাড়া নৈতিক সমাজের পক্ষে সাবেক বিচারপতি আব্দুস সালাম মামুন, মেজর অব. মুজিবুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার আতিকুল রহমান, তফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মারুফ খালেদ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে আ ম স আ আমিন বলেন, দল অনেক আছে, কিন্তু বেশিরভাগই সমস্যার অংশ। ৫০ বছরে তারা সমাধানের অংশ হতে পারেনি। সব সমস্যার মূলে রয়েছে অসুস্থ, অনৈতিক, অসৎ ও ভ্রষ্ট রাজনীতি। অর্থনৈতিক উন্নতি হলেও রাজনীতি ও সমাজ সংস্কৃতির ভয়ানক অধপতন ঘটেছে। সৎ, মেধাবী ও দূরদর্শী নেতৃত্বের খুবই প্রয়োজন। এসব প্রয়োজন পূরণ করতেই নতুন দল হিসেবে ‘নৈতিক সমাজ’ যাত্রা শুরু করল। আ ম স আ আমিন ২০০১ সালে কুড়িগ্রাম-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করেন। সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তিনি গণফোরামে যোগ দিয়ে একই আসন থেকে নির্বাচন করেন। এবার নিজেই একটি রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দিলেন। কি করবে নৈতিক সমাজ? নৈতিক সমাজের ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে আ ম স আ আমিন বলেন, নৈতিক সমাজ বলিষ্ঠভাবে জনগণের মধ্যে বিচরণ করে দলকে জনপ্রিয় করে তোলার আশা রাখে। নৈতিক সমাজের রোডম্যাপ, সংক্ষেপে ২০২১ সাল হবে সাংগঠনিক ও নিবন্ধনের বছর। ২০২২ হবে ব্যাপক প্রচার ও জনসমর্থন সৃষ্টির বছর। আ ম স আ আমিন বলেন, ২০২৩ সাল হবে নির্বাচন প্রস্তুতির বছর। আর ২০২৪ সালে বেশ কিছু আসন জিতে নিয়ে নৈতিক সমাজ শুরু করবে। ভিশন/মিশন অর্জনের সংগ্রাম- দুই প্রজন্মের মধ্যেই বাংলাদেশকে তৃতীয় থেকে প্রথম বিশ্বমানে নিয়ে যাওয়ার সংগ্রাম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন বলেন, সাধারণ মানুষ সৎ ও সত্যের পক্ষে। এই জিনিসটা আমাদের ধরে রাখতে হবে। এজন্য তরুণ সমাজকে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে। তাদের সমর্থনই আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছে দেবে। অসত্য, অনৈতিক, অসৎ মানুষদের সাধারণ জনগণ মেনে নেয় না, তাদের ঘৃণা করে। এজন্য অন্যায়, অসত্যের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, এসব থেকে সবাইকে মুক্ত করতে হবে। ড. কামাল আরও বলেন, আজ যে দলটি এলো সেখানে যেন অসৎ মানুষদের নেওয়া না হয়। সমাজে আইনের শাসনের দুর্বলতা ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকলে আমি মনে করি অন্যায়ের পক্ষের শক্তি পরাজিত হবে। নৈতিক সমাজের নতুন এ উদ্যোগের সফলতা কামনা করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমাদের জ্ঞানের চোখ বন্ধ হয়ে গেছে, আমরা সত্য জানছি না। অনেক দেশ আমাদের শাসন করেছে। আমরা গাড়ি ভাঙচুর চাই না, উন্মাদনা চাই না, কথা বলার ও আমার বক্তব্য তুলে ধরার অধিকার চাই। এভাবে তো একটা দেশ চলতে পারে না। আপনাদেরও বিচার হবে। সে দিন খুব বেশি দূরে না। সে লক্ষ্যেই আজ নৈতিক সমাজের জন্ম। তাদের এই জন্মকে শুভকামনা জানাচ্ছি। এর মাধ্যমেই জেগে উঠবে বাংলাদেশ। আমরা পৃথিবীর এক নম্বর রাষ্ট্র হতে চাই না, আমরা বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা চাই। সমাজের প্রতিটা মানুষ যেন সুফল পায়।’ ডা. জাফরুল্লাহ আরও বলেন, আমাদের এক বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল দেশে আসতে চান, কিন্তু ভিসা জটিলতায় আটকে আছে। আমাদের উন্নত রাষ্ট্র হয়ে লাভ কী তার সুফল যদি সাধারণ মানুষ না পায়। হতাশা বাদ দিয়ে আমাদের জেগে উঠতে হবে, এর মধ্যেই আমাদের মুক্তি।